আজকাল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই স্থুলতা বা ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও ব্যস্ততা বা অলসতার কারনে ওজন কমাতে পারছেন না। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, শরীর চর্চা, মেডিকেশন ইত্যাদি পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এ সব কিছুতেই স্থুলতা বা ওজন কমে না, বরং শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো হামদর্দ ওজন কমানোর ঔষধ সম্পর্কে।
হামদর্দ ল্যারেটরিজ এর ৩ টি কার্যকরী ঔষধ ছাফী সিরাপ, হাল্যাক্স ও লিনা যা স্থুলতা বা ওজন কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সাফল্যের সহিত ব্যবহার হয়ে আসছে। চলুন তাহলে শুরু করি।
হামদর্দ ওজন কমানোর ঔষধ ; ৩ টি কার্যকরী ঔষধ
নিম্নোক্ত ওষুধগুলি সেবনে উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় আপনি দেহের ওজন কমিয়ে আনতে পারবেন। ওষুধগুলি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সেবন করতে পারেন।
১. ছাফী সিরাপ
ছাফী সিরাপ প্রকৃতির বিভিন্ন মুল্যবান উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুত অনন্য ঔষধ। ইহা গুনসম্পন্ন হারবাল পলিফার্মাসিউটিক্যালস ঔষধ।
ছাফী সিরাপ বিগত ১৯৩৯ সাল থেকে স্থুলতা বা ওজন কমানোর পাশাপাশি রক্ত ও চর্ম রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ছাফী সিরাপের উপকারিতা, পুষ্টি উপাদান, খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
ছাফী সিরাপের উপকারিতা
- ছাফী সিরাপ প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধন হিসেবে বিশেষ উপকারী।
 - ইহা পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি করে।
 - ছাফী সিরাপ নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করে।
 - ইহা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে বেশ উপকারী।
 - ছাফী সিরাপ কোষস্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
 - ইহা বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন ব্রণ, ফোড়া, ফুসকুড়ি, একজিমা, সোরাইসিস,খোস পাঁচরা এবং চুলকানি নিরাময়ে উপকারী।
 - এছাড়াও এই সিরাপ ঋতু পরিবর্তনকালীন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
 
ছাফী সিরাপের পুষ্টি উপাদান
ছাফী সিরাপ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যেমন-
- সোনা পাতা
 - রেউচিনি
 - তেউরী মূল
 - কালকাসুন্দে
 - তুলসী
 - গোলাপ ফুল
 - মুন্ডীরী ফুল
 - ক্ষেতপাপড়া
 - নীলকন্ঠী
 - শাপলা ফুল
 - অপরাজিতা
 - নাগদনা
 - শিশু পাতা
 - গুলঞ্চ
 - রক্ত চন্দন
 - হরিতকী
 - কালমেঘ
 - একাঙ্গী
 - চিরতা
 - রক্ত কাঞ্চন
 - নিম এবং হলুদ।
 
ছাফী সিরাপের সেবন বিধি
প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য ২ থেকে ৪ চা চামচ (১০-২০ মিলি) দৈনিক এক থেকে দুই বার সেবন যোগ্য।
আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১/২-১ চা চামচ (২.৫-৫ মিলি) দৈনিক এক থেকে দুই বার সেব্য।
ছাফী সিরাপ সকালে এক কাপ দুধ বা পানি অথবা ফলের রসের সাথে সেবন করতে হবে। তবে এই ঔষধ সেবনের পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে