সিদ্ধেশ্বরী কলেজ

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন!

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি জনপ্রিয় কলেজ এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ। বেসরকারি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো বাংলার শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। একতা, শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতার মিশ্রণে থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থী যেনো শিক্ষাজীবনের একটি অংশে কাটাতে পারে তার সঠিক ব্যবস্থপনায় এগিয়ে চলছে এই কলেজটি। বেসরকারি কলেজ হলেও ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কলেজটির পরিচিতি চোখে পড়ার মতো। আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক হিসেবে থাকছে এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ। তবে আর দেরি করছি কেনো! চলুন কলেজটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।  

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ পরিচিতি

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ নামক এই বেসরকারি কলেজটিকে অনেকেই “সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ” নামে চিনে থাকে। বিশেষ করে স্থানীয়রা এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ক্যাটাগরিতে ফেলে।বেসরকারি এই কলেজটি ঢাকা জেলায় তার নিজস্ব আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং উন্নতমানের সাধারণ কক্ষের জন্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর রাজধানীর অন্যতম কলেজের স্বীকৃতি হিসেবে বেশকিছু কলেজকে সম্মানিত করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজও রাজধানীর অন্যতম সম্মানজনক কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছে কলেজটির রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত থাকার ব্যাপারটি। বর্তমান যুগে এসে যেখানে বাকি কলেজগুলি রাজনৈতিক কারণে নিজের মান ঠিক রাখতে পারছে না সেখানে সিদ্ধেশ্বরী কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত রেখে আসছে বহু বছর ধরে। 

কলেজটিতে অধ্যক্ষ পদে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ জসিম উদ্দিন। এছাড়াও আরো একটি জানানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজকে সংক্ষিপ্ত আকারে “সিক” বলা হয়ে থাকে। ও হ্যাঁ! এই কলেজটি কিন্তু বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজ হিসেবে শিক্ষাদান করে আসছে।  

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর অবস্থান 

চলুন! আর্টিকেলের এই অংশে জেনে নেওয়া যাক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর অবস্থান সম্পর্কে। এটি মূলত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি জনপ্রিয় বেসরকারি কলেজ। যার সম্পূর্ণ ঠিকানা হলো ২৫, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা জেলা। বলে রাখা ভালো, এই কলেজটি কিন্তু ঢাকার একটি সিটি এলাকার কলেজ৷ 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর ইতিহাস 

১৯৬২ সালের দিকে ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র রমনা থানার অধীনে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এটি স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে স্থাপিত একটি কলেজ। এদিক দিয়ে কলেজটিকে বেশ পুরোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবেও ধরে নেওয়া যায়। 

শুরুতে সিদ্ধেশ্বরী কলেজটি সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ে নৈশশাখায় পাঠদান শুরু করে। এক্ষেত্রে নৈশকালীন কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন সে-সময়কার খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আমিরুল হক। 

১৯৭১ সালে সংঘটিত হওয়া মুক্তিযুদ্ধেও যথেষ্ট অবদান রেখেছে এই কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একটি দল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে অর্থ ও নির্মাণ সামগ্রী প্রদান করেন। পাশাপাশি বর্তমান ঠিকানায় নতুন আঙ্গিকে সিদ্ধেশ্বরী কলেজের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ নামক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭০ সালে এসে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়ে যায়। এর পরপরই কলেজটি দিবা শাখাতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। 

এখানে উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ তার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য বহন করে আসছে। মানসম্মত শিক্ষা-কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও সমানে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর স্থাপনা

আমাদের আজকের এই রিভিউ টাইপ আর্টিকেলে সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর স্থাপনা সম্পর্কে একেবারে না বললেই নয়। 

মূলত পুরো ক্যাম্পাসটিকে সাজানো হয়েছে ০.৫২ একর জমির উপর। কলেজটির মূল ভবনের পাশাপাশি এতে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, প্রতিটি বিভাগের জন্যে একটি করে স্বতন্ত্র সেমিনার কক্ষ, বিজ্ঞান বিষয়ের বিভাগে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে একটি করে বিজ্ঞানাগার, প্রযুক্তির দিক দিয়ে একটি সমৃদ্ধ Computer Lab ও Multimedia শ্রেণিকক্ষ। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর শিক্ষা কর্যক্রম

বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, ও বিজ্ঞান এই ৩ বিভাগ নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও এই ৩ টি অনুষদের অধীনে আবার অনেকগুলো অনুষদও রয়েছে। 

বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজটিতে ১৭ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ২ টি বিষয়ে প্রফেশনাল কোর্স এবং ১ টি বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর মাধ্যমে যারা মাস্টার্স শেষ পর্বের কোর্সটি করতে চায় তারা কলেজটিতে থাকা ১১ টি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ পর্ব এবং ৭ টি বিষয়ে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স কোর্সের সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারে৷ 

এখন পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আসন সংখ্যা রয়েছে সর্বমোট ৭০০ টি। পাশাপাশি কলেজটির বাউবি’র অধীনে পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক, বিএ ও বিএসএস প্রোগ্রামেরও বেশকিছু সিট খালি রয়েছে৷ 

বলে রাখা ভালো বর্তমানে কলেজটিতে সর্বমোট ১০,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে পড়ছে তাদের আলাদা (ছেলে-মেয়ে) ভবনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

শিক্ষা-বিষয়ক গবেষকগণ বলছে, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের ভালো রেজাল্ট এর পেছনে কাজ করছে কলেজটির সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদানের টেকনিক। কারণ সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদানের কারণে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের আরো ভালোভাবে দক্ষ করে তোলার সময় এবং সুযোগ দু’টোই পাচ্ছে। পাশাপাশি কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড টিচার এবং ক্লাস মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকায় খুব স্মুথলি এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর ভর্তি যোগ্যতা

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে হলে একজন ভর্তিচ্ছুকে এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় ৪.০০, মানবিক শাখায় ২.৫০ এবং ব্যবসা শাখায় নূন্যতম ৩.৫০ পয়েন্ট পেতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করার পর ম্যাসেজ পেলে সরাসরি কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। 

জনপ্রিয় সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর সুবিধা

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ একটি বেসরকারি কলেজ হলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্যে কলেজটিতে রয়েছে নানান সুযোগ-সুবিধা। মূলত এসব সুযোগ-সু্বিধার লোভে পড়ে অনেকেই এই কলেজটিতে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি কাটাতে চায়। চলুন তবে এই পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর কিছু সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো এর মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং বাংলাদেশের শিক্ষানীতি অনুসরণ করে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। 

রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে এই কলেজটি পুরোপুরি মুক্ত। বাংলাদেশে আজকাল বিভিন্ন কলেজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঝামেলা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। যার জের ধরে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে শিক্ষার্থীরা বিপদজনক পথে এগিয়ে যায়। এদিক দিয়ে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে এই সিদ্ধেশ্বরী কলেজ। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর সৌন্দর্যের ব্যাপারে যদি বলি তবে বলবো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের কথা। একজন শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে সাহায্য করার ক্ষেত্রে এই কলেজের বিশাল এবং সবুজ মাঠটিই যথেষ্ট! ঢাকার মতো রাজধানীতে যেখানে অন্যান্য কলেজ জায়গা সংকটের চাপে পড়ে বড় মাঠের ব্যবস্থা করতে পারে না সেখানে এই কলেজটিতে থাকা সুবিশাল মাঠে দিনের পর দিন আগামী দিনের স্বপ্ন গড়ে তুলে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। 

কলেজটিতে রয়েছে সুদক্ষ শিক্ষক প্যানেল। এই প্যানেলের প্রতিটি শিক্ষকই একদিকে যেমন সার্টিফাইড গ্র্যাজুয়েট! ঠিক তেমনই অন্যদিকে তারা শিক্ষার্থীদের মন-মানসিকতা বুঝে বিভিন্ন টেকনিক এপ্লাই করে ক্লাস নিয়ে থাকে। যার ফলে দিনশেষে কলেজটি রেজাল্টের দিক দিয়ে যথেষ্ট ভালো করে থাকে। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিদ্ধেশ্বরী কলেজ শুধুমাত্র টেক্সটবুককেই নয়, সহশিক্ষার মাধ্যমকেও সক্রিয় রেখেছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মেধা শক্তিকে শাণিত করা যাচ্ছে সহজেই। কলেজটিতে নিয়মিত পরিচালনা করে আসা জাতীয় দিবস উদযাপন, সভাসেমিনার, নিয়মিত শিক্ষাসফর, ইনডোর-আউটডোর খেলার ব্যবস্থা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্কাউটিং কার্যক্রমের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সবদিক দিয়ে নিজেকে পার্ফেক্টলি গুছিয়ে নিতে পারছে। 

কার্যত সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পেমেন্ট পে করার ক্ষেত্রে ব্যাংক বুথের ব্যবস্থা করে হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কেও ছাত্রজীবন থেকেই জানার সুযোগ পাচ্ছে। এই ব্যাংক বুথ দ্বারা শিক্ষার্থীরা এক ক্লিকে টিউশন ফি সহ কলেজের সকল ফি পরিশোধ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর পরিবেশ 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এর সুযোগ-সু্বিধা সম্পর্কে তো জানলেন! এবার চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই কলেজটির পরিবেশ সম্পর্কে। 

  • কলেজটিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে
  • কলেজে থাকা সু্বিশাল মাঠের উপর সবুজ ঘাসের রাজত্ব যেনো চোখে পড়ার মতো
  • কলেজের একপাশে থাকা দৃষ্টিনন্দন পুকুর এবং পুকুরের ঘাট শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর করতে সাহায্য করে
  • চারপাশে থাকা গাছপালা শিক্ষার্থীদের ঢাকার দূষণের ব্যাপারটা পুরোপুরি ভুলিয়ে দিতে সক্ষম 

সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পড়ার খরচ

সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পড়তে হলে উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে ভর্তি হয়ে তবেই পড়তে হবে। এছাড়াও কলেজের বাকি কোর্সগুলিতেও ভর্তি যোগ্যতা থাকলে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ভর্তি ফি হিসেবে ৭,৫০০/- পে করতে হবে। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক ফি হিসেবে বছরে ১০০/- করে পে করতে হবে। 

ইতি কথা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিদ্ধেশ্বরী কলেজ আজ আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আশা করি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top